বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে বেশ কিছুক্ষণের জন্য হ্যাকারদের কবলে চলে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। আর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তড়িঘড়ি লেখা হল, ‘দেশে বৈধতা পাচ্ছে বিট কয়েন। সরকার ৫০০ বিট কয়েন কিনেছে। দেশবাসীর মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়া হবে।’ মুহূর্তের মধ্যে ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের সেই পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। কালবিলম্ব না করে আসরে নামেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টটি হ্যাকারদের দখলমুক্ত করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
ভোরবেলা পিএমও-র তরফে ট্যুইট করে লেখা হয়, ‘অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে। এর পরই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। যে সময়ে অ্যাকাউন্টের রাশ আমাদের হাতে ছিল না, সেই সময় যে ট্যুইট করা হয়েছে। যা বৈধ নয়। তাতে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
এদিন ওই পোস্টের সঙ্গে একটি লিঙ্কও সংযুক্ত করে তাতে ক্লিক করতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে ওই ট্যুইটটি। বর্তমানে নমোর অ্যাকাউন্টের ৭৩ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে।
অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার পর ওই সময়ের মধ্যে করা বেশিরভাগ ট্যুইটই মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু মুছে দিলে কী হবে! ততক্ষণে হ্যাকারদের পাঠানো বার্তার স্ক্রিনশট ঘুরতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। ‘হ্যাশট্যাগ হ্যাকড’-ও ট্রেন্ডিং হতে শুরু করে। যুব কংগ্রেসের সভাপতি এদিন মোদিকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘গুড মর্নিং মোদী জি! সব ঠিক আছে তো?’
খোদ প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট হওয়ায় স্তম্ভিত দেশ। স্বাভাবিকভাবেই এই টুইট কাণ্ড ঘিরে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এদিন। রাজ্য রাজনীতিতেও বিষয়টি নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের ট্যুইটার হ্যান্ডেল হ্যাক করা হয়েছিল। সেইবারও বিটকয়েন সম্বন্ধীয় একাধিক ট্যুইট করা হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে।
Leave a Reply