বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: শিশু ধর্ষণের একটি ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের মতে, শিশুর মুখে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো গুরুতর অপরাধ নয়। তাই এই ঘটনায় এক দোষীর সাজা কমিয়ে ১০ বছর থেকে ৭ বছর করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
শিশুর ওপর যৌন নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। শিশুটির বাবা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তাঁদের ঝাঁসির বাড়িতে এসেছিল অভিযুক্ত। ওই ব্যক্তি শিশুটিকে নিকটবর্তী একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে কুড়ি টাকার বিনিময়ে জোর করে ওরাল সেক্সে বাধ্য করে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭, ৫০৬ ধারা এবং পকসো আইনের ৩ এবং ৪ ধারায় মামলা রুজু করে। নিম্ন আদালতে ওই ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়। তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাহাবাদ হাইকোর্টে আপিল করে। সেখানেই এই মামলার একটি শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কুমার ওঝা জানান, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুর মুখে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়েছিল, বিষয়টি পকসো আইনের ধারা ৫-৬ অথবা ৯ (এম)-এর আওতাধীন নয়। শিশুর মুখের মধ্যে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো গুরুতর অপরাধ নয়। এই অপরাধ পকসো আইনের ৪ নম্বর ধারার মধ্যে পড়ছে। সাজাও সেইভাবেই হবে।’
এরপরেই দোষী ব্যক্তির সাজা ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৭ বছর করে দেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, পকসো আইনের ৫ এবং ৬ ধারায় গুরুতর অপরাধের বিচার হয়। কিন্তু শিশুকে ওরাল সেক্সে বাধ্য করার মতো ঘটনাকেও ‘গুরুতর’ না মনে করায় আদালতের এই রায়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
Leave a Reply