বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: ক্রমশই বিশ্বজুড়ে ত্রাস ভয়ে উঠছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন।দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান মেলা এই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস তার জাল বিস্তার করতে করতে ইউরোপ-আমেরিকা সহ একাধিক রাষ্ট্রের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে ওমিক্রন থাবা বসালেও, ততটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবুও সাবধানের মার নেই। ইতিমধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। সর্বাধিক সংক্রমিত রয়েছেন মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে।ওমিক্রন আক্রান্তের তালিকায় এরপরই রয়েছে তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং রাজস্থান। ফলে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে সতর্ক বার্তা পাঠাল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের বক্তব্য এর আগে করোনার যতগুলি স্ট্রেন এসেছে তার মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এই ওমিক্রন। এমনকী অতি সংক্রামক ডেল্টার থেকেও তিনগুণ বিপজ্জনক এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রন যাতে দেশকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি দাঁড় না করায়, তা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিল কেন্দ্র।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাঠানো নির্দেশিকায় স্পষ্ট, প্রয়োজনে ফের কড়াভাবে চালু করতে হবে নাইট কারফিউ। রাজ্যে রাজ্যে খুলতে হবে ওয়ার রুম।
ওমিক্রনের প্রভাব থেকে বাঁচতে রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে পাঠানো সতর্কবার্তায় চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি বিপদসীমা বেঁধে দিয়েছে।যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যে সব এলাকার করোনা সংক্রমণের পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি বা যে যে এলাকায় অক্সিজেন পরিষেবা থাকা আইসিইউ বেডগুলির ৪০ শতাংশ ভরতি, সেই সব এলাকা বিপদসীমা অতিক্রান্ত বলে ধরা হবে। এই বিপদসীমা যাতে না পেরোয় তা নিশ্চিত করতে দ্রুত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
কেন্দ্রের দাবি, ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও সক্রিয়। তাই তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ করতে এখন ‘ট্রেসিং’ অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা রোগীর সন্ধান করা সবচেয়ে জরুরি।সমস্ত কোভিড রোগীর কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের পর, দ্রুত আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে। রাজ্যগুলিকে বলা টিকাকরণের গতি আরও বাড়াতে বলা হচ্ছে। যাতে দ্রুত ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।রাজ্যগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জরুরি ভিত্তিতে তহবিলের ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে জোর দিতে বলা হচ্ছে। যাতে হাসপাতালের বেড থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ওষুধ আর অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা সময়মতো হয়ে যায়।
Leave a Reply