বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: পুরনো বছরের সঙ্গে বিদায় দেওয়া গেল না পুরনো সব স্মৃতি। ২০২১ সালের শেষ দিনে কলকাতায় ফিরে এল কনটেনমেন্ট জোন৷ শহরের ১৬ থেকে ১৭টি জায়গাকে চিহ্নিত করে সেই এলাকাগুলিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা৷
কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরে তিলোত্তমা সাক্ষী থাকতে চলেছে নতুন কনটেনমেন্ট জোনের। কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে পাঁচজনের বেশি করোনা আক্রান্ত হলেই, সেই সব এলাকা কনটেনমেন্ট পয়েন্ট হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হবে। চিহ্নিতকরণের পর দ্রুত সেগুলি সিল করে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, সোমবার থেকে সেফ হোম চালু হচ্ছে কলকাতায়। আর যেখানে এক সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাবে, সেই এলাকা কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। ফিরহাদের দাবি, ‘জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। ২০ শতাংশের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে। আবার তার মধ্যে তিন শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।’
এদিকে স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন বলছে, রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি। কলকাতাতেই আক্রান্ত এর প্রায় ৫০ শতাংশ। মহানগরীতে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুর প্রশাসন।এদিনই মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তারা বৈঠকে বসে, প্রাথমিক ভাবে শহরের ১৭টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেন। এই সব এলাকায় পাঁচ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুরপ্রশাসনের কাছে খবর রয়েছে। সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল এবং জিম।
পাশাপাশি করোনা রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করতে চলেছে পুরসভা৷ ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হকারদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ কোনও হকার মাস্ক না পড়লে তাঁকে বসতে দেওয়া হবে না৷ ক্রেতা-বিক্রেতা দু’জনকেই মাস্ক পড়তে হবে৷ পুলিসকে বলা হয়েছে নজরদারি চালাতে৷
Leave a Reply