বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: মে মাসে রাজ্য বিধানসভার ভোট, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সাত আসনে পুনর্নির্বাচন আর বছর শেষে কলকাতা পুরভোট- দিন গেছে আর মানুষের সমর্থন হারিয়েছে গেরুয়া শিবির। কলকাতা পুরভোটে বিপর্যয়ের পরই রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদল করেছে বিজেপি। বদল এসেছে সাংগাঠনিক জেলা ও তার নেতৃত্বেও।অঊভিশআপের খাঁড়া নেমে এসেছে সায়ন্তন বসু বা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আদি বিজেপি নেতাদের ঘাড়েও। এরপরই দলের অন্দরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উষ্মা। যা আর চাপা থাকছে না। ঘরে-বাইরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা।একের পর নেতা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। এ হেন পরিস্থিতিতে, বিজেপির নাকানিচোবানি দশাকে দূর থেকেই দারুন উপভোগ করলেন, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।যার প্রতিফলন বাবুলের সরস ট্যুইটে ।
বাবুল লিখেছেন, ‘নিজগুনে পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির। আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে। শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন। আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্টান-মুরলীধর লেন।’ উল্লেখ্য, এদিনই দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন ৫ মতুয়া বিধায়ক। রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়কে ‘অবহেলা’র প্রতিবাদে তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন বলে খবর। এদিকে দলীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
শনিবারই বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক । বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরে এসে। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সভাপতিদের মধ্যে মতুয়াদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। সে কারণেই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও বিধায়করা প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। আর এই ঘটনার পরই বাবুলের অনুমান, এই পাঁচজনও গেরুয়া শিবির ছাড়তে দ্বিধা করবেন না।
Leave a Reply