বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: বেড়েই চলেছে ওমিক্রনের চোখরাঙানি। এই মুহূর্তে দেশের ১৭ রাজ্যে ছড়িয়েছে করোনার বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২২ জন। এই নিয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫৮। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রেই সর্বাধিক ৮৮ জন আক্রান্ত।তারপরই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে,করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তুনগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। হু-র বার্তার পরই, রাজধানীতে বড়দিন এবং বর্যশেষের উদযাপনে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি সরকার।
অন্যদিকে দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫০ জন।বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৯৫।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭৪ জনের।বৃহস্পতিবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৩৪। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৩৩ জনের।মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৬২৬।
করোনা পরিসংখ্যানের গ্রাফ যেভাবেই ওঠা-নামা করুক না কেন, মানুষ করোনাবিধি মেনে চলার কথা যেন না ভোলেন, সে বিষয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওমিক্রনের দাপট বাড়তে থাকায়, বৃহস্পতিবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপট রুখতে কেন্দ্রের পুরনো টেস্টিং এবং ট্রাকিং নীতিতেই আস্থা রাখছেন মোদি। সেই সঙ্গে জোর দিতে বলছেন টিকাকরণেও। তাঁর পরামর্শ যত দ্রুত সম্ভব ওমিক্রন আক্রান্তদের শনাক্ত করে আইসোলেট করতে হবে। এবং তাঁদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করতে হবে।
এই মুহূর্তে একমাত্র স্বস্তির খবর হল, প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। এখন সুস্থতার হার ৯৮.৪০ শতাংশ। আপাতত দৈনিক আক্রান্তে স্বস্তি মিললেও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ওমিক্রনের প্রভাবে আগামী বছরের শুরুতেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে।
অন্যদিকে, ইউকেএইচএসএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ ড. জেনি হ্যারিস জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গিয়েছে।পর্যবেক্ষণে প্রকাশ, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায়ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বেশ কম। কিন্তু ব্রিটেনে সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায়, আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।
Leave a Reply