বঙ্গভূমি লাইভ ডেস্ক: ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা…। একথা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ইউক্রেন (Ukraine) নাগরিকরা। সাক্ষাৎ মৃত্য়ুর (death) মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখালেন এক ইউক্রেনীয়। যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুকে হাতে করে অন্যত্র সরানো! রাস্তায় পড়ে থাকা ল্যান্ডমাইন খালি হাতে তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলে রেখে এলেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে (Ukraine) মাত্র ৩৮ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো (video) শিউরে ওঠার মতো।
গত কয়েক দিনে ইউক্রেন (Ukraine) এবং রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে বিক্ষিপ্ত বেশ কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। তার মধ্যে একটি হল বার্ডিয়ানস্ক শহরের এই ঘটনা। ভিডিয়োতে (video) দেখা যাচ্ছে জিন্স এবং কালো জ্যাকেট পরে মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি দু’হাতে একটি মাইনকে ধরে রাস্তা থেকে পাশের জঙ্গলের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর মুখে আবার সিগারেট জ্বলছে। একটু এ দিক ও দিক হলে ওই ব্যক্তির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার উপর ওই ব্যক্তির মুখে ছিল সিগারেট। ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটার আশঙ্কা ছিল বলে মন করছেন নেটাগরিকরা।
কিন্তু ওই ইউক্রেনীয় (Ukraine) নিজের জীবন বাজি রেখে যে ভাবে বাকিদের বাঁচালেন, তাতে তাঁর সাহসিকতা নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে নেটমাধ্যমে। ভিডিয়োটি শেয়ার করে তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের জন্য অপেক্ষা না করেই রাস্তা থেকে খালি হাতে মাইন সরালেন এক নাগরিক। ইউক্রেনীয় (Ukraine) সেনারা যাতে নির্দ্বিধায় শত্রপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে পারে তার জন্য নীজের জীবন বাজি রেখে রাস্তা পরিষ্কার করলেন ওই নাগরিক।’
ভিডিয়ো শেয়ার করে তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের জন্য অপেক্ষা না করেই রাস্তা থেকে খালি হাতে মাইন সরালেন এক নাগরিক। ইউক্রেনীয় (Ukraine) সেনারা যাতে নির্দ্বিধায় শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে পারে তার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে রাস্তা পরিষ্কার করলেন ওই নাগরিক।
ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছে ‘নিউ ভয়েস অফ ইউক্রেন’। সঙ্গে লেখা হয়, বার্দিয়ানস্কের একজন ইউক্রেনীয় রাস্তায় একটি মাইন দেখতে পান। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের জন্য অপেক্ষা করেননি যুবক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর জন্য পথ পরিষ্কার করে দেন তিনি। সরিয়ে দেন মাইনটিকে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-ukraine war) একাধিক আবেগ বিহ্বল দেশপ্রেমের ছবি সামনে আসছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ খালি হতে রুশ বাহিনীকে রুখতে নেমে পড়ছেন বহু শহরে। বাখম্যাক শহরেও দেখা গিয়েছিল তেমন এক দৃশ্য। চলমান রুশ ট্যাঙ্কের উপর লাফিয়ে উঠে পড়েন এক ব্যক্তি। তাঁকে তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।
ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও সৌজন্য ছাড়েনি ইউক্রেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা। বোমা, গুলির আওয়াজে ঘুম ভাঙছে ইউক্রেনের। এর মধ্যেও তাঁরা নিজেদের সৌজন্যে থেকে সরে আসেননি। ইউক্রেন ঠিক করেছে, তারা সাহজ দেখাবে। রুশ সেনার সামনে মাথা নিচু করবে না। আগ্রাসন রুখতে রুশ সেনার মোকাবিলা করবে তারা।
গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সারা বিশ্বের সমালোচনা তাঁকে থামাতে পারেনি। ইউক্রেন যাথাসাধ্য প্রতিহত করছে। তবে এর মধ্যে এক ইউক্রেনীয় মহিলা রুশ সেনা সূর্যমুখী বীজ (sunflower seed) দেন। এই সূর্যমুখীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে, তাঁদের ঐতিহ্য।
এক ইউক্রেনীয় মহিলা রুশ সেনাকে দিলেন মুঠো ভর্তি সূর্যমুখীর বীজ। রাখতে বললেন পকেটে। কেন? কারণ, যুদ্ধে যখন তিনি মারা যাবেন তখন পকেটে রাখা সুর্যমুখী বীজ (sunflower seeds) থেকে চারা বেরবো। ফুল ফুটবে।
ভাবতে বড়ই কাব্যিক। আসলের কঠিন রসিকতা। কিন্তু কেন সূর্যমুখী ফুল? তার আগে প্রেক্ষিতটা জেনে নিন।
টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছে। যে ভিডিয়ো নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখে যাচ্ছে ওই মহিলা সশস্ত্র এক রুশ সেনা সেনাকে জিজ্ঞাসা করছেন, কেন তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছো? উত্তরে সেনা জবাব দিচ্ছেন, আমরা পাহারা দিচ্ছি। আপনি চলে যান এখান থেকে। উত্তেজিত মহিলা বলছেন, কী জন্য আছো এখানে? সেনা তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অন্য ইতিহাস (war history) লিখেছেন ইউক্রেনের এক সৈনিক (army) । রুশ বাহিনীর শহর দখল আটকাতে নিজের শরীরে বোমা বেঁধে শহর সংযোগকারী ব্রিজ উড়িয়ে দেন তিনি। ভাইটালি সাকুন ভলোডমায়রোভিচ নামের ওই শহিদ সৈনিকের দেশপ্রেমকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। কেবল ইউক্রেনের সৈনিকরাই নন। সেখানকার সাধারণ মানুষও খালি হতে রুশ বাহিনীকে রুখতে নেমে পড়ছেন বহু শহরে। বাখম্যাক শহরে দেখা গেল তেমনই এক দৃশ্য। চলমান রুশ ট্যাঙ্কের উপর লাফিয়ে উঠে পড়লেন এক ব্যক্তি। তাঁকে তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল রুশ ট্যাঙ্ক।ঘটনাটি ঘটেছে চেরনিহিভ অঞ্চলের ছোট শহর বাখম্যাকে। ভিডিও দেখা গিয়েছে, রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন বেশ কয়েকজন শহরবাসী। আমাদের দেশ দখল করতে হলে আমাদের শরীরের উপর দিয়ে যেতে হবে তোমাদের, এমন ভঙ্গিতেই রুশ বাহিনীর সামনে খালি হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাল সাধারণ মানুষ। যদিও এই প্রতিরোধকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয়নি রুশ সৈনিকরা। এক ব্যক্তি যখন লাফিয়ে একটি ট্যাঙ্কের উপর উঠে পড়েন, তখন ওই অবস্থাতেই এগিয়ে যেতে দেখা যায় ট্যাঙ্কটিকে।
Leave a Reply